১
কত অসংখ্য শব্দের কাছে
ঋণী হতে হবে আর?
শহরে আলাপচারিতা,
ঝুটো অভিমান—–
পরিচিত সংলাপের নাব্যতা
মেপে নেয় রোজ।
তবু
হিসেবি প্রশ্নেরা ওৎ পেতে থাকে
শৌখিন মুহূর্তের সংখ্যা গুনবে বলে।
২
ঘরের পর ঘর পেরোয়….
দরজা নেই; নেই আগল।
শুধু আছে রাজকন্যে,
রূপোর কাঠি, আর
ডাইনি বুড়ির ঘুম।
৩
অথচ
নিঃশুল্ক প্রেম জমা হচ্ছিল
পাহাড়িয়া বুকে।
যেন অযুত কোটি দিন পেরিয়ে
এমন বসন্তে
খরচ হবে বলে।
8
বর্ণমালার নৈঃশব্দ্যে টুকিটাকি খুঁজে নেওয়া,
নরক ঘেঁটে তুলে আনা রঙিন আলো —
শিখিয়েছে তোমায় দেবদূতের মতো কঠিন হতে
মৃতের চিতার পাশে একলা তুমি
গুনেছ কান্নার ঢেউ।
৫
গহীন অলকানন্দা
কিংবা
ত্রিকূটের চুড়ো
তন্নতন্ন করে খুঁজি।
আমরা দিশেহারা।
তৃতীয় পুরুষ তবু অক্লান্ত।
সে জানে,
বৃন্দাবনে একটামাত্র পারিজাত ফুটেছে।
৬
কলম জুড়ে নেমেছে অন্ধকার।
মন নেই গদ্য-পদ্যের ছকে।
কর্মহীন ক্লান্তিকর যৌবন
অরুচি এনেছে ‘রত’ থাকায়।
এখন কান পেতে শুনতে ইচ্ছে হয়
উল্কাপাতের শব্দ।
৭
বেগুনি ক্ষোভ ছড়িয়ে দেব
পিচ-মোরামের গলির বাঁকেবাঁকে।
জড়তা বলে এখানে কিছু নেই,
পথের দাবি পথেই পড়ে থাকে।
Leave a Reply