সেই শেষবার দেখা হয়েছিল আমাদের ।
যখন দিন ফুরিয়ে জীবনকে গ্রাস করছিল নিকষ রাত;
ও সেদিন হালকা নীল ডেনিমে, খোলা চুলে
স্নিগ্ধ বিকেল সাজিয়ে চলে গিয়েছিল সংকোচে হাত নাড়িয়ে।
তারপর।
তারপর ক্ষ্যাপার মত রাস্তায় খুঁজেছিলাম তাকে,
অনেকখানি রাস্তা, অনেকটা সময়।
কিছু রাস্তা শুরুই হয় শেষ হবে না বলে।
শুধুই অন্ধকার।
আর কোনদিন সূর্য ওঠেনি জীবনে আমার।
ফোসকা পড়া হৃদপিন্ডে আজও
এক সন্ধ্যায় তার হাতের উষ্ণ ছোঁয়া ছ্যাঁকা দিয়ে যায়।
টোলপড়া গালে আর যত্নে সাজানো কাজলে
এখনো দুঃস্বপ্নে বিভীষিকা লুকোচুরি খেলে যায়।
সব ফুল বাসি হয়।
হয়তো শুকায়, না হলে পচে গলে যায়।
কেবল একটা পাপড়ি আমার অবিরাম রক্তপাতে ভিজে,
রোজ আরো কোমল, আরো টাটকা হয়ে থেকে যায় ।
সে ব্রহ্মকমল আমার ।
দগদগে হৃদয়ের পচা মাংসের উর্বরতায়,
নতুন হয়ে ফুটে বাতাসে গন্ধ বিলিয়ে দেয়।
শুনেছি মৃতদেহ মাটির পুষ্টি শক্তি বাড়িয়ে দেয়
রোজ আরো গাঢ় হয়ে ওঠো তুমি আমার লসিকায়।
তার জীবনের ছায়াপথে
আবছা হয়ে পড়ে থাকে নিথর দেহ আমার।
সাবধানে পথ হেঁটো পরি।
নিহত প্রেমিকের মৃত হৃদয় নাকি,
সাংঘাতিক রকমের পিচ্ছিল হয়ে যায়।
Leave a Reply